আমরা একটা প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে চলেছি। আমরা ওয়েব ২.০ এর যুগ থেকে থেকে ওয়েব ৩.০ এর দিকে চলেছি। ওয়েব ৩.০ কেন শীল্পিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ জানতে হলে, আমাদের আগে জানতে হবে, ওয়েব৩ বা ওয়েব ৩.০ জিনিসটা কি?
সংজ্ঞা দিয়ে শুরু করা যাক:
ওয়েব ১.০: ওয়েব ১.০ বলতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা ইন্টারনেটের প্রথম যুগকে বোঝায়। এটা ছিল শুধুমাত্র পাঠযোগ্য বা রিড অনলি ওয়েব পেজের যুগ। সেই সময় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর খুব একটা অনলাইন ইন্টারঅ্যাকশনের সুযোগ ছিল না। ওয়েব ১.০ তে স্ট্যাটিক ওয়েব পেজ গুলো থেকেই যা কিছু তথ্য পাওয়া যেত। এটা ছিল প্রথম যুগের ইন্টারনেট যা বর্তমান ওয়েব ২.০ থেকে অনেক আলাদা।
ওয়েব ২.০: এরপর এল বর্তমান ওয়েব ২.০ এর যুগ। বর্তমানে আমরা আমরা একটা সেন্ট্রালাইজড বিশ্বে বাস করি। সেন্ট্রালাইজড বিশ্বের একটা বড় অসুবিধা হল, এখানে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ হয়ে থাকে। ওয়েব ২.০ বা বর্তমান ইন্টারনেটের দুনিয়াও এই নিয়মে চলে। বর্তমানে ইন্টারনেটের দুনিয়ার তথ্য প্রবাহ মাত্র কয়েকটা বড় কোম্পানি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তবে ওয়েব ২.০ তুলনামুলকভাবে ওয়েব ১.০ থেকে আরও বেশি গণতান্ত্রিক এবং অংশগ্রহণমূলক, যেখানে সাধারণ মানুষ তাদের কাজ, ধারণা এবং অভিজ্ঞতা অন্যদের সাথে ভাগ করে নিতে পারেন।
ওয়েব 3.0: ওয়েব 3.0 বলতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, মানে ইন্টারনেটের তৃতীয় প্রজন্মকে বোঝায়। ওয়েব ৩ হল ব্লকচেইন টেকনোলজি ভিত্তিক ইন্টারনেটের একটা প্রস্তাবিত সংস্করণ। ব্লকচেইন হল তথ্য রেকর্ড করার এমন একটা সিস্টেম যেখানে, হ্যাক করা, বা তথ্য চুরি করা বা বিকৃত করা, প্রতারণা করা অত্যন্ত কঠিন বা প্রায় অসম্ভব।
ওয়েব ৩ এর উদ্দেশ্য ইন্টারনেটের বিকেন্দ্রীকরণ। তবে ওয়েব ৩ শিল্পী সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওয়েব ৩ শিল্পী সম্প্রদায়ের জন্য সুখবর আনতে পারে। ওয়েব ৩ তে শিল্পীদের তাদের ওয়েবসাইট এবং অনলাইন উপস্থিতির উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
ওয়েব ৩-এর সুবিধা:
১. ওয়েব ৩ -তে ইন্টারনেটের তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণকারী কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ থাকবে না।
২. ইন্টারনেট আরও সহজলভ্য হবে।
৩. ওয়েব ৩.০ -এর মাধ্যমে, শিল্পীরা তাদের কাজ সরাসরি তাদের শ্রোতাদের কাছে সম্প্রচার করতে পারবেন, Google, YouTube বা Spotify-এর মতো থার্ড পার্টি প্ল্যাটফর্মের সাহায্য ছাড়াই। এটা শিল্পীদের তাদের কাজের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দেবে এবং তাদের আরও সহজে আয় করার সুযোগ করে দেবে।
৪. এটা ডিসেন্ট্রালাইজড ইন্টারনেট যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর নির্মিত। এটা ব্যবহারকারীদের অনেক বেশি নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং সুরক্ষিত অনলাইন লেনদেনের সুযোগ দেবে ।
৫. ডিসেন্ট্রালাইজড ইন্টারনেটের মাধ্যমে, শিল্পীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। তারা অন্যান্য শিল্পীদের সাথে সংযোগ করতে এবং সহযোগিতামূলক কাজ করতে সক্ষম হবে।
কিভাবে শিল্পীরা ওয়েব ৩.০ এর জন্য প্রস্তুত হতে পারেন?
শিল্পীদের ওয়েব ৩.০ এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে নিজেদের পরিচিত করতে হবে, যাতে তারা এর সুবিধাগুলি নিতে পারে৷ শিল্পীদের আরো বেশি করে বিকেন্দ্রীভূত প্ল্যাটফর্মগুলোতে, নিজেদের উপস্থিতি তৈরি করা উচিত যাতে তারা বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। ব্লকচেন টেকনোলজি নির্ভর প্রযুক্তি, যেমন মেটাভার্স, ডিসেন্ট্রালাইজড অ্যাপ, NFT (নন ফাঞ্জিবল টোকেন) এগুলোর ব্যবহার জানতে হবে।
Author
-
Advocate Jewel Chanda is an accomplished legal professional with over 15 years' experience in the legal field. He has served as a Judge for 10 years in the West Bengal Judiciary and is currently practicing before the High Court at Calcutta and in various Trial Courts of the District Judiciary. A Gold Medalist, Mr. Chanda holds two Bachelor's degrees, one of which is Law, along with four Master's degrees in Law (Criminology), Business Law, Environment & Development and Sociology. He is also a Doctoral Research Scholar of Jindal Global Law School whose research area focuses on Artificial Intelligence and Law. With exceptional expertise in both civil and criminal litigations including family matters and property matters, Advocate Chanda is highly trained to handle trials, appeals and revisions. He is well-versed in all aspects of the law and litigation, making him an invaluable asset to protect the legal rights of the poor and weaker section of the society. Contact Advocate Chanda at jewelchanda@gmail.com
View all posts