ফোন বাজছে।
প্রতিবাদী শিল্পী মশাই বেজায় ব্যস্ত ছিলেন সেই সময়। প্রথমে ভেবেছিলেন ফোনটা ধরবেন না। শেষমেষ ধরবনা ধরবনা করেও ফোনটা ধরেই ফেললেন। ওপার থেকে আওয়াজ এল,
“ভাই কেমন আছিস?”
‘বল ভাই, এই চলছে। বল, তোর খবর কী?’
“আসলে একটা বিশেষ কারণে ফোন করেছিলাম।”
“দেখ আমি বেশি গোল গোল করে ঘোরাবো না। একটা বন্ধুর থেকে, একজন বন্ধু হিসেবে, আরেকটা বন্ধুকে চেয়ে নিচ্ছি। দিবি?”
আলোচনা কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা ততক্ষণে প্রতিবাদী শিল্পী মশাই বিলক্ষণ বুঝেছেন। তবে ভদ্রলোক হবার অনেক জ্বালা। তাই ভদ্রলোকদের অনেক সময় বুঝেও না বোঝার ভান করতে হয়। তাই প্রতিবাদী শিল্পী মশাই বললেন, ‘ভাই জটিল করিস না। বুঝিয়ে বল।’
“তাহলে সোজা করেই বলি। মামনিকে আমি খুব ভালবেসে ফেলেছি। তুই তো জানিস। আমি বিয়ে করবনাই ঠিক করেছিলাম। তাই কখনো কোন সম্পর্কে জড়াইনি। মামনি যখন প্রথমবার আমাকে বলল, আমার বন্ধু হবে। আমি ভালোবেসে ফেলেছি। মামনিকে আমায় দিবি?”
আপনারা যারা এখনো বুঝতে পারেননি, তাদের জন্য বলে রাখি, এই মামনি ব্যক্তিটি হল, আমাদের প্রতিবাদী শিল্পীর ধর্মপত্নী। শিল্পী মশাই এমনিতে ঠান্ডা মাথার মানুষ। তার উপরে চির প্রেমিক। এককালে প্রেম যুদ্ধে ঠান্ডা মাথায় ডান্ডা অনেক চালিয়েছেন। সেসব উঠতি বয়সের হিরোবেলার গল্প। সময়ের স্রোতে জীবন পাল্টেছে। জীবন দর্শনও পাল্টেছে। তাই উনি উত্তেজনা প্রশমন করে, যতটা সম্ভব স্বাভাবিক গলায় বললেন, ‘তোর ভাই মাথার ঠিক নেই। অবশ্য সেজন্য তোকে দোষ দিচ্ছিনা। প্রেমে পড়লে ওরকম হয়। বিচার বুদ্ধি লোপ পায়। ভুল-ঠিক এর বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা লোপ পায়। তুই ভাই, কুল ডাউন কর। মাথা ঠান্ডা হলে পরে ফোন করিস।’
এই বলে উনি ফোন কেটে দিতে যাচ্ছিলেন। ওদিক থেকে করুন একটা স্বর ভেসে এলো।
প্রতিবাদী শিল্পী মশাই বিরক্ত হলেন বটে, তবে ফোনটা কাটতে পারলেন না। তাই বিরক্ত সুরে বললেন, ‘প্যান প্যান করে মাথা খারাপ করিস না। যা বলবি তাড়াতাড়ি বল।’
“তুই কিন্তু রেগে যাচ্ছিস?”
‘বেশ করেছি রেগে গেছি। তুমি শালা ফোন করে বলবে, তেরা বউ মুঝে দে দে ঠাকুর, আর আমি আনন্দে গদগদ হয়ে যাব? হয় কখনো? তোর বাপের ভাগ্য ভালো যে ভদ্রলোকের মত আচরণ করছি। নইলে রাগের বহিঃপ্রকাশে তোমার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার হয়ে যেত। বলতিস গিয়ে পুষ্পাকে, পুষ্পা ভাই তোমার বউটাকে দিয়ে দাও। কেলিয়ে তোমার ইয়ে, ভেঙে দিত।’
“এই বাপ তুলে কথা বলবি না। এখানে আমার বাপের কোনো ভূমিকা নেই। আমিও যথেষ্ট ভদ্রলোকের মতন কাজ করেছি। বাই দ্যা ওয়ে, পুষ্পা কে?”
‘তোর এই একটা দোষ। সিনেমা দেখিনা। এটা করি না। সেটা করি না। এটা করা উচিত নয়। সেটা করা উচিত নয়। মদ খাই না। সিগারেট খাইনা। গাজা খাইনা। মাগীবাজী করি না। মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক করি না। বিয়ে করি না। বিয়ে না করাকে গ্লোরিফাই করি। এদিকে কি চাই? না, মাঝবয়সী পাঠার অন্যের বউ চাই। তুই ভদ্রলোক শালা? তুই হলি ভন্ড ভদ্রলোক।’
“ও্! ভালবাসাটা অপরাধ হয়ে গেল? ভালোবাসাটা কি অপরাধ? শুধু যাকে ভালবেসেছি, সে পরস্ত্রী। ব্যাস অপরাধ হয়ে গেল? সত্যিকারের ভালবেসেছি বলেই না, চেয়ে নিচ্ছি। ওই রাজমিস্ত্রিদের মতন বউ নিয়ে পালিয়ে গেলে কি ভালো হতো? ভদ্রলোকের মতন কাজ করেছি বলেই, তার কোন দাম নেই রে। ভদ্রলোক বলেই চেয়ে নিচ্ছি। দিলে দিবি, না দিলে না দিবি। না দিলে আমি দূর থেকে ভালোবাসবো। কারো বাবা কিছু করতে পারবে না।”
‘এটাই তো সংসার না করার মুশকিল বাওয়া। তুমি গত কুড়ি বছর ধরে ছবি এঁকেছ। আমি ছবিও এঁকেছি, গানও লিখেছি, সঙ্গে চৌষট্টিটা প্রেম করে, চৌষট্টিটা কলা নিজের পিছনে গুঁজে, সংসার করেছি। সুতরাং প্রেম-ভালোবাসা আর সংসার নিয়ে আমাকে জ্ঞান দিতে এসো না। এ বিষয়ে তুমি দুধের শিশু। অবশ্যই ভালোবাসা কোন অপরাধ নয়। যে কেউ যে কাউকে ভালবাসতে পারে। অপরাধ যদি হয়ে থাকে সেটা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ-এ। আর সব থেকে বড় অপরাধ হলো, বউ চাওয়াতে। শুয়োরের বাচ্চা, বউ কি প্যান্টি না জাঙ্গিয়া? যে চাইলেই দিয়ে দেব। ওরে গাধা, ওটা বউ। কোন জিনিস নয়। একটা আদ্যোপান্ত গোটা মানুষ। তার ওপরে মেয়ে মানুষ। আগে এটা শেখ, যে মেয়ে মানুষের বেচা-কেনা, দেওয়া-নেওয়া করা যায় না। কেউ করতে পারে না। আগে মেয়ে মানুষকে, মানুষ বলে ভাবতে শেখ। ভালবাসা তার অনেক পরে আসবে।’
বাদী মশাই ততক্ষণে যথেষ্ট কোণঠাসা। প্রতিবাদীর ডায়লগে একটা জোর আছে। লজিকও যথেষ্টই আছে। এখন মনে হচ্ছে বউ চাওয়াটা কেলো হয়ে গেছে। চালে ভুল হয়ে গেছে। তবে খেলাটা হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে, বাদী মশাই এবারে একটু এটাকিং মোডে চলে গেলেন। কি একটা কথা আছে না? অফেন্স ইজ দ্যা বেস্ট ডিফেন্স।
“না না শোন। আমি মেয়ে মানুষকে মানুষই ভাবি। তুই কথার ছলে আমাকে একেবারে নারী পাচারকারী বানিয়ে দিলে তো আর আমি মানবো না। বউ চেয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা ঠিক ওরকম নয়। তুই শব্দের কারিগর বলে আমার কথার যা খুশি মানে বার করতে পারিস না। ভালবাসায় তো কোন অপরাধ নেই। এটা একটা সময়। যে সময় ভালোবাসা হয়ে যায়।”
‘অবশ্যই অপরাধ না। ভালোবাসা চিরন্তন। অপরাধ হলো ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে। ভালোবাসার মাত্রায়। ভালোবাসার সীমারেখায়। ভালোবাসাকে মর্যাদা দিতে হলে, আগে ভালবাসার সীমারেখাটা নির্ধারণ করতে হয়। আর ভালবাসার সীমারেখাটা নিজের মত নির্ধারণ করা যায় না। সেই লক্ষণ রেখাটা সমাজ আগেই টেনে রেখেছে। একটা মানুষ বউ-বাচ্চা নিয়ে সংসার করছে। আর তুই তার ভরা সংসারে ঢুকে পড়ছিস। তারপর শালা বলছিস, ভালোবাসা। তুই তো আবার গালাগালি দিস না। আমি দি। তাই কান খুলে শুনে রাখ, বোকাচোদামোর একটা লিমিট হয়।’
“ভাই আমি কিন্তু কারো কাছে যাইনি। মামনি একজন প্রথম মহিলা, যে আমাকে বলেছিল আমার সাথে বন্ধুত্ব করবে? তবুও আমি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, বন্ধুত্ব করতে হলে, তোর পারমিশন নিয়ে আসতে। তাও সে বারবার ফিরে এসেছে। আমার দরজায় কড়া নেড়েছে। তবেই আমি সম্পর্কে এগিয়েছি।”
‘ও! তো এগিয়ে কি বললি? চলো যাই কন্ডোম কিনতে? ওখানেই তো ভুল হয়ে গেছে বাওয়া। বন্ধুর বউ সুন্দরী। চটকদার। তুমিও চমৎকার। আরে গান্ডু মানুষ মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হবে। বিভিন্ন কারণে। কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষকে তার জীবনের কিছু বেসিক রুল ঠিক করে নিতে হয়। মনে নামতার মতন। এক এক্কে এক। দুই দুগুণে চার। এই নামতাটা চেঞ্জ করে দিস। দেখবি সব অংক চেঞ্জ হয়ে গেছে। তাই প্রতিটা মানুষকে নিজের নামতা নিজে লিখতে হয়। আর যারা নামতা লিখতে পারেনা, তাদেরকে সমাজের লিখে দেওয়ার নামতা মেনে চলতে হয়।’
“ভাই এসব বাজে কথা বলে কোন লাভ নেই। লাভ এন্ড ওয়ার, এই দুটো ক্ষেত্রে এসব জ্ঞানের কথা কোন কাজে দেয় না। সমাজের তৈরি করে দেওয়া সব নিয়মই কি আমরা মানি? তুই মানিস?”
ততক্ষণে দুপক্ষেরই সুর সপ্তমে চড়ে গেছে। ক্যাজরা ভালো রকম জমে গেছে। আমার হেব্বি ইন্টারেস্ট। আমি তখন শুনছি, মস্তি নিচ্ছি, আর খাতায় নোট নিচ্ছি, গল্প লিখতে হবে বলে। প্রতিবাদী বন্ধু এবারে ঝাঁঝিয়ে উঠলো;
‘না মানি না। আর সেই জন্য নিজের একটা রুল বুক বানিয়েছি। আর সেই রুল বুকে লেখা আছে, কোন ধরনের মানুষের সাথে কি ধরনের সম্পর্ক তৈরি করব। আমি আমার নিজের মেয়েকেও ভালোবাসি, বউকে ভালবাসি, বন্ধুর মেয়েকে ভালোবাসি, পাতানো বোন কেও ভালোবাসি, আবার মাকেও ভালোবাসি, আবার ভাতৃবধূ কেও ভালোবাসি। কিন্তু প্রত্যেকটা ভালোবাসার মাত্রা আলাদা। এখন আমি সুবক্তা। সুদর্শন। যাকে বলে ক্যারিশম্যাটিক। তাই কখনো যদি বন্ধুপত্নী, আমার প্রতি আকৃষ্ট হয়, আমি আমার রুল বুকের শরণাপন্ন হই। যদি দেখি বন্ধুপত্নীর আমার প্রতি আকর্ষণ অন্য মাত্রায়, আর সেটা আমার রুল বুকের বাইরে, তখন আমি খেলতেই নামব না।’
“আমিও তাই। সেই জন্যই তো চেয়ে নিচ্ছি। দিলে দিবি। না দিলে না দিবি।”
‘ওখানেই তো প্রবলেম। তুই তো তোর দাদার বউকে, দাদার মেয়ে-কে খুব ভালবাসিস। কি বাসিস না?’
‘না না অন্য কথা নয়। সোজা কথার উত্তর দে। তোর দাদার বউকে আর দাদার মেয়ে কে তুই ভালবাসিস কি বাসিস না?’
‘ইয়েস। ইয়েস। ইয়েস। এটাই শুনতে চাইছিলাম। তো দাদার কাছে গিয়ে বৌদিকে চেয়ে নে। গিয়ে বল ভালোবাসতেই পারি। ভালোবাসার অধিকার আছে। দাদা কে গিয়ে বল তুই তো অনেকদিন ঘর করলি, এবার তোর বউটাকে আমায় দে।’
“না তা কেন! সেটা তো অন্যরকম সম্পর্ক।”
‘আরে শালা। নিজের দাদার বেলায় অন্য রকম সম্পর্ক। আর বন্ধুর বেলায়, আমাকে তোমার বউ দাও? নষ্টামোর তো একটা লিমিট হয়।’
“এতে নষ্টামোর কি দেখলি? এত যে সমাজ সমাজ করে লেকচার দিচ্ছিস, তোর সমাজেরই বানিয়ে দেওয়া নিয়ম, দেয়ার ইজ নো নিয়ম ইন লাভ এন্ড ওয়ার। আর দশজন যা বলে সব সময় তাই ঠিক হয় নাকি? এই যদি মামনি আমার সাথে থাকতে চায়। আমার সাথে বেরিয়ে আসতে চায়, তুই আটকাতে পারবি? কি বলে তোর সমাজ? একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে আটকে রাখা যায়?”
‘আরে পাগল, ইসমে তেরা ঘাটা মেরা কুছ নেহি যাতা। ভাগ্যবানের বউ চলে যায় শুনিস নি? এইযে ধর গত এক মাসে আমি চল্লিশটা গান লিখেছি। পাঁচটা এক্সিবিশন করেছি। তুই কি করেছিস? তুই সারা জীবন রাত দশটায় ঘুমিয়ে ভোর পাঁচটায় উঠেছিস। ঘুম থেকে উঠেই চলে গেছিস স্টুডিওতে। নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে শুধু সাধনা। শিল্প সাধনা। কিন্তু গত একমাসে? ভেবে দেখ, তুই শিল্প ছাড়া সব করেছিস। রাত জেগে আমার বউকে মেসেজ করেছিস। আমি যখন কাজে ব্যস্ত থেকেছি, তুই অকাজ করেছিস। ধরে নে আমার বউ তোর সাথে চলেই গেল। তারপর? আমার জীবনে তো শান্তিই শান্তি। একেবারে নিস্তরঙ্গ। এদিকে আমার প্রডাক্টিভিটি বেড়ে যাবে। আর ওদিকে, তুই তখন বাজারে গিয়ে সবুজ কানকোওয়ালা পুঁটি মাছ খুজবি। এখন কেউ যদি ইয়েতে ঢুকে যেতে চায়, যাক না। আমার কি। তুই শুধু দয়া করে আমায় ফোন করে বিরক্ত করিস না। আর তোর প্রশ্নের উত্তরটা আমার রুল বুকে লেখা আছে।
আমার রুল বুকের ধারা ৭৫৪; আমার মেয়ে তার জীবন সঙ্গী অথবা সঙ্গিনী হিসেবে কাকে পছন্দ করবে সে তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। সে বিষয়ে আমার উপদেশ কেবলমাত্র অনুরোধ সাপেক্ষ। মানে জিজ্ঞাসা করলে তবেই কোনো উপদেশ দিতে যাব।
ধারা ৭৫৫; আমার মেয়ে বিবাহ পরবর্তী জীবনে, কখনো যদি আমাকে এসে বলে, সে তার বর্তমান স্বামীর সঙ্গে সুখী নয়। এবং তার বিচার বুদ্ধি বিবেচনা অনুযায়ী সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সে তার বর্তমান বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করবে। আমার কূটনৈতিক সমর্থন সর্বদা আমার মেয়ের প্রতি থাকবে। কারণ, অন্যথায় আমাকে মেনে নিতে হয় যে আমি তাকে সঠিক শিক্ষা দিয়ে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারিনি। সেটা প্রকারান্তে আমার নিজেরই ব্যর্থতা।
ওদিকে আমার রুল বুকের ধারা ৯৯৯-এ লেখা আছে,
অনুরূপ পরিস্থিতিতে পরিবারের দুই সদস্যের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না।
সুতরাং আমার বউ যদি এসে আমাকে বলে, সে আমার সাথে আর থাকতে চায় না। সে চলে যেতে চায়। তাহলে আমার কুটনৈতিক সমর্থন সর্বদা তার পক্ষেই থাকবে। আমি ধরে নেবো সে তার জীবনের সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তাতে তুই ভাবিস না তোর কোন উপকার হবে। ওইযে প্রথমেই বললাম, ইসমে তেরা ঘাটা, মেরা কুছ নেহি যাতা।
এরপরে আর ফোনালাপ খুব বেশিক্ষণ চলেনি। কাণ্ডকারখানা শুনে সেদিন হাসতে হাসতে আমার পেটে যথেষ্ট ব্যথা হয়ে গেছিল। বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা অবশ্য। লিখব লিখব করে গল্পটাই লেখা হচ্ছিল না। ভাবলাম আন্তর্জাতিক নারী দিবসেই লেখাটা শেষ করে পোস্ট করি।